অঙ্কুরোদগম ঃ বীজ থেকে চারা গজানো অর্থাৎ বীজের ভ্রুনমূল বেরি এসে মাটিতে প্রবেশ এবং তারপর শীর্শমুকুল উপরের দিকে আরোহন করে শিশু উদ্ভিদের জন্ম প্রক্রিয়াকে অঙ্কুরোদগম বলে।
মৃদভেদী অঙ্কুরোদগম ঃ বীজের অঙ্কুরোদগম এর সময় যদি বীজের ভেতরের ভ্রুনমুকুলটির সাথে বীজপত্রও মাটি ভেদ করে উপরে উঠে আসে তবে তাকে মৃদভেদী অঙ্কুরোদগম বলে। যেমন তেতুল বীজ।
ব্যাখ্যাঃ বীজ যখন যথেষ্ট পানি বা আদ্রতা, অক্সিজেন, আলোক উৎসের উপস্থিতি পায় তখন চারা সৃষ্টির প্রক্রিয়া শুরু হয়। এসময় বীজের ভেতর রাসায়নিক পরিবর্তন কোষ বিভাজন ইত্যাদি ঘটে। ফলে প্রচুর পানি অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। এসময় মাটির নিচে আলো পায়না। কিন্তু কিছু উদ্ভিদের আলোক অপরিহার্য হয়ে পড়ে। তখন ভ্রুনমূল মাটিতে প্রোথিত হবার পর বীজ পত্র আলোক শোষনের জন্য মাটি ভেদ করে উপরে উঠে আসে। কারন এ সময় ভ্রুনমুকুলে আলোক শোষনযোগ্য অঙ্গ থাকেনা। অন্যদিকে পুষ্টি সরবরাহ করতে বীজ পত্রের অক্সিজেন প্রয়োজন হয় যা মাটির ভেতর থেকে গ্রহন করা সম্ভব হয়না। ফলে অভিযোজনিক এসব নানা কারনে বহু উদ্ভিদের এভাবে মৃদভেদী অঙ্কুরোদগম হয়। আর এই অঙ্কুরোদগমের চারাগুলো বেশি রসাল ও মোটা হয়ে থাকে।
উপরের ৩টি আলাদা নাম দিয়াছেন। সবার ক্ষেত্রে একই অঙ্কুরোদগম হয় বলে একই উত্তর প্রযোজ্য। তাই ৩ বার লিখলাম না
তবে আপনি ৩টি দাগে ৩বার লিখে নিতে পারেন।