নিম্নে ব্যাপন ও অভিস্রবনের মধ্যে পার্থক্য উল্লেখ করা হলঃ-
ব্যাপন
|
অভিস্রবন
|
১। উচ্চ ঘনত্বের দ্রবন থেকে কম ঘনত্বের দ্রবনের দিকে পদার্থের(দ্রব) অনুগুলো ছড়িয়ে পড়াকে ব্যাপন বলে।
|
১। দুটি ভিন্ন ঘনত্বের দ্রবনকে একটি বৈষম্যভেদ্য পর্দা দ্বারা পৃথক করে রাখলে কম ঘনত্বের দ্রবন থেকে উচ্চ ঘনত্বের দিকে দ্রাবক পরিবাহিত হওয়াকে অভিস্রবন বলে।
|
২। পদার্থের অনুগুলো পরিব্যাপ্ত হয় বা ছড়িয়ে পড়ে ।
|
২। পদার্থের অনু নয়, দ্রাবক পরিবাহিত হয়।
|
৩। যে পাত্রে বা স্থানে পদার্থ থাকে তার চারপাশে সমান ঘনত্বে না ছড়ানো পর্যন্ত ব্যাপন চলতে থাকে ।
|
৩। দুটি দ্রবনের ঘনত্ব এক না হওয়া পর্যন্ত অভিস্রবন চলতে থাকে।
|
৪। পদার্থের ঘনত্বের চাপের ফলে ব্যাপন ঘটে । এই চাপকে ব্যাপন চাপ বলে।
|
৪। পদার্থের ঘনত্বের মাত্রা প্রশমিত করতে দ্রাবক যে চাপের ফলে উচ্চ ঘনত্বের দিকে যায় তাকে অভিস্রবনিক চাপ বলে ।
|
৫। এটি একটি ভৌত প্রক্রিয়া।
|
৫।এটিও ভৌত প্রক্রিয়া হলেও রাসায়নিক প্রভাব বিদ্যমান।
|
৬। ভেদ্য বা বৈষম্যভেদ্য বা অর্ধভেদ্য পর্দা থাকেনা।
|
৬। দুটি ভিন্ন ঘনত্বের দ্রবনের মাঝে অবশ্যই একটি ভেদ্য বা বৈষন্যভেদ্য বা অর্ধভেদ্য পর্দা থাকে যা দ্রবনদ্বয়কে পৃথক রাখে।
|
৭। যেমনঃ বাতাসে সেন্ট এর সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়া।
|
৭। যেমনঃ পানিতে কিসমিস রাখলে তা পানি শোষন করে ফুলে ওঠা।
|