চোখ ওঠা ডাক্তারী পরিভাষায় হচ্ছে কনজাংকটিভাইটিস। কারণ চোখের বাইরের পৃষ্ঠে একটি পাতলা পর্দা চোখকে ঢেকে রাখে। এই পর্দার নাম কনজাংকটিভা পর্দা। এলার্জির কারণে এই পর্দা লাল হয়ে প্রদাহ ঘটলে তাকে চোখ ওঠা বলা হয় হয়।
অনেকেই মনে করেন চোখ ওঠা একটি ভাইরাসজনিত রোগ। কথাটি কিছুটা ঠিক কিছুটা ভূল
ঠিক হল চোখে ভাইরাস এসে পড়লে ভাইরাসের কারণে এই পর্দা প্রদাহ হয়। এবং ভাইরাস এর জন্য এলার্জি শুরু হয়ে চোখ ওঠা শুরু হয় ।
আর ভূল হল শুধু মাত্র ভাইরাসের কারণে নয়, ধূলা বালি দ্বারাও এটি ঘটে থাকে।
সাধারণত দুই ধরণের এলার্জির কারণে চোখ ওঠে।
১। সিজনাল এলার্জিক কনজাংকটিভাইটিসঃ এটি মৌসুমি সমস্যা। বছরের একটি নির্দিষ্টি সময়ে এমন কিছু গাছ লতাপাতার ফুল ফোটে যাদের পরাগরেণু বাতাসে ছড়িয়ে চোখে পড়লে ঐ পরাগ রেণুর জন্য এলার্জি শূরু হয় এবং চোখে প্রদাহ হয়। সাধারণ ভাবে একে চোখ ওঠা বলে। এটি বছরে নির্দিষ্ট সময়ে হয়।
২। পেরেনিয়াল এলার্জিক কনজাংকটিভাইটিসঃ এটি সাধারণত ধূলা ময়লার সাথে কিছু ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং পোষা প্রাণীর লোম ও পালকের জন্য হয়ে থাকে।
ভাইরাসের ক্ষেত্রে সামান্য ছোয়াচে দেখা যায় তবে তা খুব প্রকট ছোয়াচে নয়।
চোখ ওঠা ছোয়াচে বলে মনে করা হয়। চোখ ওঠা রোগীর চোখের দিকে তাকালে চোখ ওঠে বলে মনে করা হয়। আসলে প্রথম প্রকার চোখ ওঠা গাছের পরাগ রেণু বাতাসে ভেসে চলে। একই অঞ্চলে একই সাথে একই জায়গায় গেলে অন্যদের চোখেও ফুলের রেণু স্বাভাবিক ভাবে যেতে পারে। বিষয়টি না বুঝে ছোয়াচে বলে ধরে নেওয়া হয়।
আসলে চোখ ওঠা ছোয়াচে নয়।