নিম্নে স্বপরাগায়ন ও পরাগায়নের গুরুত্ব আলোচনা করা হলঃ-
স্ব-পরাগায়নঃ যেসকল ফুলের পরাগায়নে কোন বাহকের প্রয়োজন হয়না, পরাগরেণু সরাসরি পরাগধানী থেকে গর্ভ গর্ভমুন্ডে পতিত হয়ে নিষেক সম্পর্ণ করে তাকে স্ব-পরাগায়ন বলে।
গুরুত্বঃ-
১। অন্যকোন নিয়ামক বা বাহকের দরকার হয়না বলে পরাগায়নের সম্ভাবনা অনেকটা নিশ্চিত হয়।
২। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ফুল উভয়লিঙ্গ হওয়ায় একাধিক ফুলের প্রয়োজন হয়না।
৩। স্বপরাগায়নের ফলে প্রজাতির বিশুদ্ধতা বজায় থাকে।
৪। স্বপরাগায়নের ফলে মাতৃ উদ্ভিদের গুনাগুন হুবুহ বংশ ধারায় যায় বলে একই পরিবেশে টিকে থাকার জন্য মাতৃ উদ্ভিদের শক্তি লাভ করে।
৫। সহজে জিনগত পরিবর্তন হয়না বলে বিশুদ্ধ উদ্ভিদ প্রকৃতে বহুদন পর্যন্ত বিরাজ করে ফলে আমরা উদ্ভিদ বৈচিত্র সম্পর্কে জানতে পারি।
৬। নির্দিষ্ট গুনাগুন সম্পর্ণ ফল ও বীজ পাওয়া যায় যা কৃষি ক্ষেত্রে অতান্ত জরুরি।
পর পরাগায়নঃ
সেসকল ফুলের পরাগায়নে বিভিন্ন বাহক, নিয়ামক বা পতঙ্গের দরকার হয় তাকে পর পরাগায়ন বলে।
গুরুত্বঃ
১। বিভিন্ন বাহকের দরকার হয় বলে পতঙ্গের জীবিকা বংশধারা টিকে থাকে।
২। অধিকাংশ এক লিঙ্গিক ফুল বলে একই উদ্ভিদে বেশি পরিমানে পুষ্প পাওয়া যায়।
৩। বাহক আকৃষ্ট করার জন্য ফুলে মধু সৃষ্টি হয় বলে আমরা মৌচাক থেকে মধু ও মোম পাই।
৪। পর পরাগায়নের ফলে একই প্রজাতির ভিন্ন উদ্ভিদের পরাগরেণু কতৃক নিষিক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বলে নতুন বৈশিষ্ট সম্পর্ণ উদ্ভিদ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৫। সহজে হাইব্রিডাইজেশন ঘটিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্ভিদ উন্নায়ন করা যায়।
৬। উচ্চ ফলনশীল উদ্ভিদ সৃষ্টি করা সহজ হয়।
৭। ফুলে সুগন্ধি থাকে বলে বৈজ্ঞানিক ভাবে ফুল থেকে সুগন্ধি পদার্থ নিষ্কাশন করে কাজে লাগানো যায়।
৮। উদ্ভিদের পরাগরেণু বাহক কতৃক বহুদুর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে বলে বিভিন্ন যায়গায় যেকোন স্ত্রীফুলের নিষেকের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
৯। প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার মত অভিব্যক্তি সম্পর্ণ উদ্ভিদ সৃষ্টি হয়।
১০। প্রজাতির মিশ্রতা সৃষ্টি হয় বলে উদ্ভিদ বৈচিত্রতার উদ্ভব হয় ফলে ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশে একই উদ্ভিদের ভিন্ন ভিন্ন রুপ সহজেই অভিযোজিত হয়ে বংশ ধারা টিকে থাকে।