GMO এবং ট্রান্সজেনিক জীব এর মধ্যে তুলনামূলক পার্থক্যঃ -
GMO:-
১। জেনেটিক্যালি মডিফায়েড অর্গানিজম বা GMO হচ্ছে কোন জীবের ডিএনএ এর আংশিক পরিবর্তন ঘটিয়ে ঐ জীবের দৈহিক গঠনের উন্নতি সাধন।
২। জিএমও তে জীবে কোন নতুন বৈশিষ্ট সৃষ্টি হয়না। তার নিজস্ব বৈশিষ্টই থাকে। শুধু মাত্র বৈশিষ্টগুলো কম বা বেশি প্রকাশিত হয়।
৩। যেমন একটি জিএম আপেল। এখানে সাধারন আপেলে আকারে ছোট, মিষ্টি কম। একে জিএমও প্রযুক্তি দ্বারা আকারে বড় ও বেশি মিষ্টি করা যায় ।
৪। জিএমও সৃষ্টি করা হয় অনুন্নত ও টেকসই করার জন্য। বিশেষ করে ফসলের পোকা দমন ও বেশি উৎপাদন।
(এইটুকু লিখবেন না, এখানে বোঝার জন্য অতিরিক্ত তথ্য দিচ্ছি মাত্র, ধানের অনেক প্রজাতি আছে। কোন ধান পানিতে ডুবে যেয়েও মরে যায় না, কিন্তু ফলন কম, কোন ধান, সামান্য পানিতেও ভাল জন্মে কিন্তু ফলন কম, কোন ধান লোনা পানিতেও ভাল জন্মে কিন্তু ফলন কম, কোন ধান অনেক বেশি ফলন কিন্তু পোকা লাগে বেশি, কোন ধান বেশি ফলন কিন্তু খারাপ আবহাওয়ায় টিকে থাকেনা, চাষ অলাভজনক। এই অবস্থায় জিএমও প্রযুক্তি দ্বারা এমনভাবে জীন মডিফায়েড করা হয় যে, ফলনও বেশি হবে, পোকার আক্রমন কমানোর জিনও কাজ করবে। খারাপ আবহাওয়ায়ও টিকে থাকবে। ক্ষরা হলে মরে যাবেনা। এখানে ধানের শক্তিগুলোকে বাড়ানো হচ্ছে মাত্র। কোন নতুন বৈশিষ্ট সৃষ্টি হচ্ছেনা। এটি জিএমও)
ট্রান্সজেনিকঃ-
১। কোন জীবের জিন মডিফায়েড করে ঐ জীবে নতুন কোন বৈশিষ্ট সৃষ্টি হলে তাকে ট্রান্সজেনিক জীব বলা হয়।
২। ট্রান্সজেনিক জীবে ঐ জীবের নিজস্ব বৈশিষ্টের কিছু বিলুপ্ত হতে পারে আবার কিছু নতুন বৈশিষ্ট্য যুক্ত হতে পারে।
৩। যেমন জোনাকি পোকার জিন তামাকে স্থানান্তরের ফলে তামাক গাছে জোনাকি পোকার মত আলোর আভা বের হয়। যেহেতু তামাক গাছে আলো ছড়ানো গাছের বৈশিষ্ট নয়। এখানে নতুন এই বৈশিষ্ট সৃষ্টি করা হয়েছে জিন মডিফিকেশন দ্বারা। তাই এটি ট্রান্সজেনিক জীব।
৪। ট্রান্সজেনিক জীব সৃষ্টি করা হয় নতুন বৈশিষ্ট্য ও নতুন জীবজ পন্য বা জীব থেকে নতুন সেবা পাবার জন্য।