পৃথিবীতে কোন কিছুই স্থায়ী নয়। আমাদেরও মৃত্যুর কোন নির্ধারিত সময় নাই, দিনের পর দিন আমাদের প্রাণশক্তি বা আয়ু কমেই যাচ্ছে।
এরুপ এন্ড্রয়েড ফোন যখন আপনি ব্যবহার করেন তখন বার বার স্ক্রিনে চাপ পড়ার জন্য এর সেন্সিটিভিটি কমে যায়। আপনি পকেটে নিয়া হাটছেন। নানা সময় নানা চাপে এই স্ক্রিনের পাতলা টাচের সুক্ষ্ম ইলেকট্রনিক প্রলেপ গুলো ক্ষয় পেতে থাকে, স্থাপনার স্থান দুরত্ব পরিবর্তন হতে থাকে, কখনো কখনো ভেঙ্গে যায় তা আপনি দেখতে পান বা নাই পান। কারন এগুলো মাইক্রোস্কোপিক ক্ষুদ্র।
তাই এর কার্যক্ষমতা নষ্ট হতে থাকে।
অন্যদিকে ব্যাটারী হচ্ছে রাসায়নিক আয়ন।
যা বার বার চার্জ বা বিদ্যুৎ প্রবাহের ফলে এবং বহুদিন ধরে আসতে আসতে ব্যাটারির রাসায়নিক পদার্থের বন্ধন ভেঙ্গে যেতে থাকে। যেমন লোহা ফেলে রাখলে ধীরে ধীরে বাতাসে বিক্রিয়া করে মরচে পড়ে যায়।
এভাবে রাসায়নিক বন্ধন ভেঙ্গে গেলে তা আর তড়িতবিশ্লেষন হয়না বলে চার্জ ঠিকমত হয়না।
আবার এসকল বন্ধন ভাঙ্গার ফলে মাঝে মাঝে গ্যাসের সৃষ্টি করে ফুলে ওঠে, তখন ব্যবহার উপযোগী থাকে।
বিশ্বের সবকিছু সময়ের সাথে পরিবর্তন হওয়ায় মোবাইলের যন্ত্রও বহুদিনে এগুলো রাসায়নিক বা ফিজিক্যালি বা অতি ব্যবহারের ফলে নষ্ট হয়েই যায়।