কোন বস্তু কোন প্রকার শক্তির উৎস থেকে শক্তিপ্রাপ্ত হয়ে গতিশীল হলে মহাশুন্যে তা গতির দিকে সমবেগে চলতে থাকে। কারন মহাশুন্যে গতিরোধের কোন প্রতিবন্ধকতা নাই। আবার মহাকর্ষ সূত্র থেকে আমরা জানি মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুকণা একে অপরকে আকর্ষন করছে। কাজেই গতিশীল কোন বস্তু অন্য একটি বড় বস্তুর পাশ দিয়া অতিক্রম করার সময় আকর্ষন বলের প্রভাবে তার দিকে পতিত হতে থাকে। এখন গতিশীল বস্তুর গতি ও পাশের আকর্ষিত বস্তুর আকর্ষন ও ভরবেগ যদি একই সাম্যবস্থায় আসে তাহলে গতিশীল বস্তুটি তার রৈখিক গতি অন্য বস্তুর দিকে পতনের জন্য বক্র গতিতে রুপ নেয়। ফলে বস্তুতি পুরাপুরি না পারে পতিত হতে কারন তার রৈখিক গতির জন্য একটি সম্মুখ বেগ থেকে, আবার বস্তুটি না পারে সোজা চলে যেতে কারন পাশের আকর্ষিত বস্তুটির ক্ষমতা তাকে নিজের দিকে টেনে আনে। এভাবে বস্তুটি ভারসাময়ে থেকে বেশি প্রভাবের আকর্ষিত বস্তুটির চারপাশে ঘুরতে থাকে।
আবার যখন কোন বস্তু অন্য বস্তুকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকে তখন দুটি বিপরীত বলের উদ্ভব হয়। একটি কেন্দ্রমূখী বল যার প্রভাবে কেন্দের দিকে অভিকর্ষ সৃষ্টি হয় এবং সমান বিপরীতে কেন্দ্রবিমুখী বলের সৃষ্টি হয় যার প্রভাবে বস্তুটি ঐ গতিপথ থেকে ছিটকে যেতে চায়। এই দুই বিপরীত মুখী বল একে অপরকে নাকচ করে ভারসাম্যে থেকে সুষম বেগের একটি কক্ষপথ বা অরবিট সৃষ্টি করে ঘুরতে থাকে।
এভাবেই গ্রহগুলো সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে।