সমস্ত জীব জগতে শ্বসনক্রিয়া মূলত দুই প্রকার। যথা ১। স্ববাত শ্বসন ও ২। অবাত শ্বসন। যদিও বাহ্যিক শ্বসনে কিছু ভিন্নতা রয়েছে। যেমন উন্নত প্রাণীদের ক্ষেত্রে শ্বসন দুই প্রকার তা হচ্ছে বাহ্যিক শ্বসন এবং অন্তঃশ্বসন। বাহ্যিক শ্বসনের জন্য মানুষসহ স্তন্য পায়ীতে নাক নাশারন্ধ, ফুসফুস ইত্যাদি থাকে। জলজ প্রাণীদের আবার ফুলকা থাকে। কিছু এক কোষী মনেরা বা প্রোটোজোয়াতে আবার ব্যাপন প্রক্রিয়ায় সরাসরি কোষের প্লাজমামেমব্রেন দিয়া শ্বসন চলে। অন্যদিকে অন্তঃশ্বসন বা কোষীয় শ্বসনের ক্ষেত্রে অধিকাংশ উচ্চ শ্রেণীর জীবে স্ববাত শ্বসন ঘটে। স্ববাত শ্বসন হচ্ছে অক্সিজেন এর উপস্থিতিতে কোষের মাইটোকন্ড্রিয়াতে খাদ্য বস্তু জারিত হয়ে শক্তি ও কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন করে। যেমন মানুষ, গরু, উদ্ভিদ
আবার কিছু নিম্ন শ্রেণীর জীব যেমন ব্যকটেরিয়া, ঈষ্ট বা ছত্রাকে অবাত শ্বসন হয়। এক্ষেত্রে অক্সিজেনের দরকার হয়না, এনজাইম ক্ষরন করব খাদ্য ভেঙ্গে শক্তি ও এলকোহল উৎপন্ন করে। যেমন ঈষ্ট জাইমেজ এনজাইমের সহায়তায় শ্বেতসারকে ভেঙ্গে শক্তি ও এলকোহল উৎপন্ন করে।
এভাবে জীব জগতে কিচ্ছুটা ভিন্ন শ্বসন প্রক্রিয়া দেখা যায়।