কপি-পেস্টঃ কপিপেস্ট হচ্ছে একটি ডিজিটাল কন্টেন্ট বা লেখা এক যায়গা থেকে কপি বা নকল উত্তোলন করে অন্যত্র স্থাপন করা। আসলে কম্পিউটারে কপি বলতে কোন কন্টেন্ট হুবুও একটি ক্লিপবোর্ড ফাংশন দ্বারা ডুপ্লিকেট সংরক্ষন করে তা তদ্রুপ অন্যত্র সংযোজন করার ব্যবস্থা।
কাজেই সহজ ভাবে কপি পেস্ট হচ্ছে কোন ওয়েব সাইটের কন্টেন্ট বা লেখা হুবুও কপি করে অন্যত্র সংযোজন করে সেখানে প্রচারকে কপি পেস্ট বলা হয়। এখানে কপি দ্বারা নকল উত্তোলন করা ও পেস্ট দ্বারা নতুন স্থানে সংযোজন করা হয়। এটি কীবোর্ড দ্বারা সহজে cntrl+c হচ্ছে কপি এবং cntrl+v হচ্ছে পেস্ট করা যায়।
কপিপেস্ট প্রায়শই প্লেজারিজম অপরাধের ভেতর পড়ে। কারন অধিকাংশ ক্ষেত্রে অন্যের লেখাকে নিজের নামে চালানো হয় কপি পেস্ট করে।
কপি-পেস্ট ধরাঃ প্রায় ৯৮% কপি পেস্ট ধরা যায়। এমনিতে লেখা দেখে কিছুটা বোঝা যায় যে, কপি পেস্ট হতে পারে। আর সোর্স কোড দেখলে আরও অনেকটা নিশ্চিত হওয়া যায়। কিন্তু এগুলো একটু কঠিন আর দক্ষতার দরকার হয়। তবে বিভিন্ন অনলাইন সফটওয়ার। আর্টিকেল চেকার দ্বারা কপিপেস্ট সহজে ধরা যায়।
আবার হার্ড সম্পাদনার কপি-পেস্ট অনেক ক্ষেত্রে ধরা যায়না। আবার এমনও হতে পারে যে, আপনি টাইপ করে লিখলেন কিন্তু তা অপর কোন লেখার সাথে হুবুও মিলে গেল তখন এটি বোঝার উপায় থাকেনা যে কপি পেস্ট কিনা। তবুও প্রতিটি মানুষের একটি স্বতন্ত্রতা রয়েছে। আর তা সর্বক্ষেত্রেই ঘটে। তাই দুজনের লেখা কখনো এক হয়না। দুই তিন লাইনের ছোট লেখা, কোন এক বিষয়ের মুখস্থ বিদ্যা এক হতে পারে কিন্তু যখননই একটু বড় আর্টিকেল লিখবেন তখন তা আর এক হবেনা। তাই কপি বোঝা যায়। অন্যদিকে কপিরাইট আইন অনুযায়ী একজন যা প্রকাশ করলেন সেটা তার প্রোপার্টি হয়ে যায় তাই আপনি হুবুও সেই রকম প্রোপার্টি বানাতে বা প্রকাশ করতে পারবেন না। যদিও আপনি নিজে করেছেন। সেটি কপিরাইটের আওতায় পড়বে। তাই অবশ্যই আপনাকে মডিফাই করে ভিন্ন ভাষা, বা উপায়ে প্রকাশ করতে হবে যাতে আপনার স্বতন্ত্রতা প্রকাশ পায়।