নিম্নে উদ্ভুদের পরাগায়নের গুরুত্ব আলোচনা করা হলঃ-
১। পরাগায়নের ফলেই ফূল থেকে ফল ও বীজ উৎপাদিত হয়।
২। পরাগায়নের ফলে বীজ সৃষ্টি হয় বলে উদ্ভিদের বংশধারা বজায় থাকে।
৩। পরাগায়নের ফলে ফল হয় বলেই প্রাণীজগত খাদ্য পায় কেননা প্রাণী বিশেষ করে মানুষের অধিকাংশ খাবার ফল বা বীজ বা সস্য জাতীয়। যেমন ধান সস্যা জাতীয় ফল, বেগুল ফল জাতীয় তরকারী।
৪। ফুল ফল, সস্যা, বীজ বাদেও শাক সবজি অন্যন্য খাদ্য কোন না কোন ভাবে উদ্ভিদ থেকেই আসে। আর উদ্ভিদের এই ব্যপক উৎপাদন পরাগায়নের উপর নির্ভরশীল। কেননা এর মাধ্যমেই বংশ বিস্তারের বীজ উৎপাদিত হয়।
৫। পরাগায়নের ফলেই উদ্ভিদের বিস্তার ঘটে বলে কাঠ, জালানী, আসবাব ইত্যাদি পাই।
৬। পরাগায়নের জন্যই মৌমাছি মধু ও মোম উৎপন্ন করতে পারে।
৭। পরাগায়নের সময় একই গোষ্ঠীর ভিন্ন প্রজাতির বা জাতের মধ্যে পরাগায়নের সম্ভাবনা থাকে বলেই বৈচিত্র জাতের উদ্ভব হয়। ফলে প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থেকে উন্নত ফলন দিতে পারে।
৮। পরাগায়নের মাধ্যমে নিষেক সম্পর্ন হয় বলে বৈজ্ঞানিকভাবে বিভিন্ন কৌশলে পরাগায়ন ঘটিয়ে উদ্ভিদের উন্নয়ন ঘটিতে মানুষের প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদন সম্ভব বলেই আজ আর আমরা শুধু প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল নই।
৯। পরাগায়নে মিউটেশন ঘটিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ঋতুর উপযোগী উদ্ভিদ সৃষ্টি করে উপকৃত হওয়া যায়।
১০। পরাগায়নের মাধ্যমেই বিজ্ঞানীগন উদ্ভিদ স্টেম সেল গবেষনা করে প্রয়োজনীয় উপাদান তৈরিতে গবেষনা করে যাচ্ছেন।